News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1c8
এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের শুনানি চলাকালে বুধবার (২ অক্টোবর) আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আক্তারুজ্জামান মন্তব্য করেন, ‘আপনারা কোর্টের সঙ্গে যে আচরণ করছেন, তাতে আমি লজ্জিত।’
শুনানির শুরুতে বিচারক বলেন, ‘আপনারা আমার অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারবেন না। কোর্ট চলাকালীন এভাবে কথা বললে আমি চলে যাবো।’ এরপর তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার কখন হয়েছে? এর মধ্যে কি জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে? তার কি রাজনৈতিক পরিচয় আছে?’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ‘সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের সঙ্গে তার পরিচয় আছে।’ বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘পরিচয় থাকলেই কি রিমান্ডে পাঠাতে হবে?’ এর উত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা কিছু বলতে পারেননি। এরপর আদালতে পুনরায় হট্টগোল শুরু হয়।
বিচারক অতিরিক্ত আওয়াজ সৃষ্টিকারী একজন আইনজীবীর পরিচয় জানতে চান। ওই আইনজীবী জানান, তিনি জজ কোট বারের সিনিয়র আইনজীবী। বিচারক নাম জানতে চাইলে আইনজীবীরা বলেন, নাম বলার প্রয়োজন নেই এবং সম্মান দিয়ে কথা বলার আহ্বান করেন। বিচারক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, ‘আপনারা কোর্টের সঙ্গে যে আচরণ করছেন, তা নিয়ে আমি লজ্জিত। আদালতে যদি আপনাদের কথা বলার সুযোগ না দেয়া হয়, তাহলে আমরা কীভাবে কাজ করবো?’
বিচারক আরও বলেন, ‘আমি চাই, যারা অন্যায় করেছেন, তাদের বিচার হোক।’ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, বিচারকের আচরণ সংযত রাখতে হবে।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন। বিচারক আবারও প্রশ্ন করলে আবার বিশৃঙ্খলা শুরু হয়, এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
বিচারক বলেন, ‘আপনারা যদি আমার কথা পছন্দ না করেন, তাহলে জানান। আমরা চলে যাই।’ এরপর বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যও নেন। তিনি আসামির অতীত কর্মকাণ্ড এবং দেশের কঠিন সময়ে তার ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
শেষে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জানান, ‘সবার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’