News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/13d
পানির ওপরের হবে অস্থায়ী মঞ্চ। সেখানেই হবে রাতভর গান। গান শুনবে হাওরে বেড়াতে যাওয়া দর্শনার্থীরা। এমন অভিনব আয়োজন শুরু হবে কাল থেকে।
‘মাটির গন্ধে ভাটির গান’ এই আবহে আগামী ১৩ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর সপ্তাহব্যাপী ‘টাঙ্গুয়ার হাওরে ফোকফেস্ট-২০২৪’ শিরোনামে হতে যাচ্ছে এই আয়োজন। আয়োজন করেছে টাঙ্গুয়ার হাওরের নৌ পর্যটন উদ্যোক্তারা। মাঝ হাওরে জলবেষ্টিত মঞ্চে আয়োজিত অভিনব এই উৎসবটি নৌকায় থেকে উপভোগের সুযোগ রয়েছে। উৎসব চলাকালীন সময়ে শুধু নিবন্ধিত হাউস বোটগুলোতে থাকা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে আয়োজনটি।
স্থানীয় লোকসংগীত শিল্পী, নৌ পর্যটন কর্মীদের মাঝে থাকা লোকসংগীত ও যন্ত্রসংগীত শিল্পীদের নিয়ে এই আয়োজনে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ‘আপনঘর’, ‘সোনার বাংলা সার্কাস ব্যান্ড’-এর প্রবর রিপন, সোহাগ শ্রাবণ ও ‘দোতং পাহাড়’ গান খ্যাত সোহান আলী।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে আহমেদ শ্রাবণ জানান, ঐতিহ্যগতভাবেই হাওর জনপদের ভাটি অঞ্চল বিখ্যাত লোকসংগীতের সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত। এই জল ও জোছনার ছোট্ট জনপদে মরমি সাধক হাসন রাজা, ধামাইল গানের জনক রাধারমণ দত্ত, বাউলসম্রাট শাহ আব্দুল করিম, কাটা বিচ্ছেদি গানের জন্য খ্যাত উকিল মুন্সী কিংবা দুরবিন শাহের আবির্ভাব হয়েছে। বাউলসঙ্গীদের এই মুকুটহীন সম্রাটদের গানকে যারা কণ্ঠে ধারণ করেন আর অন্তরে লালন করে চলেছেন এমন লোকসংগীতশিল্পীদের সম্মিলনেই এই আয়োজন।
তিনি বলেন, ‘মূলত হাওর পর্যটনের ২ দিন ১ রাতের প্যাকেজগুলোর সঙ্গে মিল রেখেই ১৩ তারিখ সন্ধ্যা থেকে থেকে শুরু করে ১৪ তারিখ রাতের প্রথম প্রহর, ১৫ তারিখ সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে ১৬ তারিখের প্রথম প্রহর ও ১৭ তারিখ সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে ১৮ তারিখ রাতের প্রথম প্রহর পর্যন্ত তিনটি আলাদা পর্বে উদযাপিত হবে এ বছরের আয়োজন।
আয়োজকদের মধ্যে রয়েছে ‘জলের গান’, ‘তরী ময়ূরাক্ষী’ এবং ‘ফ্লোটিং হাউজ অফ টাঙ্গুয়া’ এ ছাড়া এই আয়োজনে হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে থাকছে ‘মহাজনের নাও’, ‘ডোঙা’, জলপদ্ম, ফ্যান্টাসি অফ টাঙ্গুয়া’সহ বেশ কিছু হাউস বোট। অনুষ্ঠানের মূল পর্ব আয়োজন হবে তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাটের একটি ভাসমান রিজোর্ট ‘মেঘদূত’-এ।
এই আয়োজন সম্পর্কে অনুষ্ঠান আয়োজক জলের গান হাউস বোটের মালিক শ্রাবণ আহমেদ বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের প্রয়াণ দিবস ও ১৭ সেপ্টেম্বর ভরা পূর্ণিমাকে সামনে রেখে লোকসংগীত, হাওর আর জ্যোছনা উদযাপনের মিশেলে পর্যটকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দিতেই এই আয়োজন।