News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/12w
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আজগর রিপন মল্লিকসহ তিন নেতা মামলা বাণিজ্য করছেন বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পাঠানো এই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন আলী আজগর রিপন মল্লিক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বাদ দিয়ে নিরাপরাধ সাধারণ মানুষকে আসামি করাচ্ছেন তাঁরা। এছাড়াও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নেতাকর্মীদের নির্যাতনসহ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটিতে পদ বিক্রি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। উপজেলার বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক নেতা একই অভিযোগ করেছেন। তাঁদের ভাষ্য, হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনার মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক আল আসাদ, সাধারণ সম্পাদক লিটন মাঝি, সিনিয়র সহ-সভাপতি বাচ্চু মাঝি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি না করতে টাকা নিয়েছেন রিপন মল্লিক ও তাঁর পরিবার।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের আসামি করা হয়েছে। বাবুল শেখ নামে যে ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে তিনি ওমরাহ পালনে ২৯ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সৌদি আরবে ছিলেন। দিঘীরপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামীম মোল্লা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে স্থানীয় কয়েকজনকে আসামি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিবকে দেওয়া অভিযোগের অনুলিপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিএনপি বর্জন করলেও গত ২১ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ওয়াহিদের পক্ষে মাঠে ছিলেন রিপন মল্লিক এবং তাঁর অনুসারীরা। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহার মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং মিথ্যা মামলা করান। ওইসব মামলায় বিএনপি নেতারা জেল খাটেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে রিপন মল্লিক বলেন, আভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে এসব কথা বলা হচ্ছে। কিছু নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে আসামি করা বা বাঁচিয়ে দেওয়ার সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।