ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এদেশে বারবার শুধু ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে। নেতার পরিবর্তন হয়েছে।

কিন্তু তাদের নীতি ছিল একটিই, তা হলো মানবরচিত আইন ও শাসন ব্যবস্থা। এ কারণে শাসক গোষ্ঠী হয়েছে স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ। স্বাধীনতার স্বাদ থেকে জনগণ হয়েছে বঞ্চিত।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে ভদ্র ও গুণী মানুষকে আসতে হবে। তা না হলে এসব স্থান মন্দ মানুষেরা দখল করে নেবে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ি মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি মো. ফাইজুদ্দিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, জেলা সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি রেজাউল করিম আবরার ও শামসুর রহমান মুজাহিদ।

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা চাঁদাবাজি ও গুন্ডামি করতে আসবে তাদের খাম্বার সঙ্গে বেঁধে রাখবে। আমরা চাঁদাবাজি দেখতে চাই না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ছাড়া শান্তি আসতে পারে না। ইসলামের পরিপূর্ণ বিধান পালনে খাঁটি মানুষ হওয়া যায়। ইসলামের বাইরে দ্বিতীয় কোনো নীতি আদর্শ মানুষের কল্যাণ করতে পারে না।  

সম্প্রতি জুলাই বিপ্লবও হয়েছে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ স্বৈরচারের বিরুদ্ধে। শত শত ছাত্র-জনতার জীবন উৎসর্গ এবং পঙ্গুত্ব বরণ করার মাধ্যমে সফল হয়েছে এ আন্দোলন। এ সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে জাতি হিসেবে আমাদেরকে চরম খেসারত দিতে হবে। ভবিষ্যতেও স্বৈরাচারী শাসকের আগমন হবে। দুর্নীতি-দুঃশাসন শুরু হবে। দেশ অকার্যকর হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। আমরা এমনটি হতে দিতে পারি না। এ বিপ্লবকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, বিদায় হয়েছে রক্তচোষা মানবতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। যারা সৃষ্টি করেছিল গুম, খুন, গায়েবি মামলা ও রাতের ভোটের রাজনীতি।

তিনি জাতীয়, ধর্ম ও দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের নগরবাসীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহবান জানান।

ইসলামকে বাদ দিয়ে এ ৫৩ বছর পর্যন্ত গণতন্ত্রবাদ, সমাজতন্ত্রবাদ, জাতীয়তাবাদ, আর ধর্ম নিরেপক্ষতাবাদের মাধ্যমে মানুষকে বারবার মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি।