News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/10m
‘তারা আমার জীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ। তারা আমাকে যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করে।’ মেয়ে দারিনা বাজিলেভিচ (১৭) তার কলেজের আবেদনপত্রে পরিবারকে নিয়ে এমন কথাই লিখেছিলেন। তিন বোন ও বাবা-মা মিলিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার। কিন্তু এখন বেঁচে আছেন শুধু বাবা ইয়ারোস্লাভ।
বুধবার লভিভ শহরে তাদের বাড়িতে রুশ হামলায় মা ইয়েভেনিয়া (৪৩), বড় বোন ইয়ারিনা (২১), ছোট বোন এমিলিয়া (৭) ও সে নিজে সিঁড়িতে অবস্থানকালে নিহত হন। বাবা ইয়ারোস্লাভ ওই সময় পানি আনার জন্য ঘরের ভেতরে গিয়েছিলেন। সিঁড়ির জায়গাটি নিরাপদ মনে হওয়ায় পরিবারকে সেখানে রেখে নিজেই ফ্ল্যাটের ভেতরে যান।
তিন বোন ও তাদের মায়ের মৃত্যুতে লভিভ ও ইউক্রেন জুড়ে ব্যাপক শোকের সৃষ্টি করেছে। লভিভের মেয়র অ্যান্ড্রি সাদোভিই বলেন, বড় মেয়ে ইয়ারিনা ‘লভিভ- ইয়ুথ ক্যাপিটাল অব ইউরোপ ২০২৫’এ অংশ নিয়ে টাউন হলে কাজ করেছিল।
মেঝ বোন দারিনা লভিভের ইউক্রেনীয় ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউক্রেনীয় সংস্কৃতি বিষয়ের স্কলারশিপের ছাত্রী ছিলেন। সে সবে তার দ্বিতীয় বর্ষ শুরু করেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়টি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি একটি বড় ও অপূরণীয় ক্ষতি। এই শোক বর্ণনা করতে পারে এমন কোনো শব্দ নেই। আসুন আমরা নিহতদের আত্মার জন্য প্রার্থনা করি। আসুন আমরা বাবা ইয়ারোস্লাভের জন্য প্রার্থনা করি।’
লভিভের এই হামলায় মোট সাতজন নিহত হন।
এর আগে মঙ্গলবার পোলতাভাতে একটি সামরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আঘাত হানে দুটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র। ওই হামলায় ৫৩ জন নিহত হয় এবং ২৭০ জনেরও বেশি আহত হয়।