News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/Zu
বাংলাদেশের নারী ফুটবলে আবারও টাকার সংকট! অক্টোবরে সাফ ফুটবলের আগে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে সাবিনা-মারিয়াদের ম্যাচ খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাফুফে তাকিয়ে আছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের দিকে। আর্থিক সহযোগিতা পেলেই সাফের আগে দুটি ম্যাচ আয়োজন করতে চায় বাফুফে।
আজ সোমবার বিকেলে বাফুফে ভবনে সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
,'যেহেতু এটা ফিফা উইন্ডোর বাইরে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি ম্যাচ আয়োজনের। খেলতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে। তবে আমাদের আর্থিক অবস্থার কথাটাও বলতে হবে।
কারণ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে ছয়টি টুর্নামেন্ট চলছে। বছর শেষে ফান্ডিংও শেষ পর্যায়ে আছে। সরকার ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করতে চাই তারা যদি এগিয়ে আসে। এছাড়া বাইরের দেশের ফুটবল ফেডারেশনগুলোর সাথেও কথা বলছি।
সবকিছু যদি মিলে যায় তাহলে চেষ্টা করব দুটি ম্যাচ আয়োজন করতে।'
১৭ অক্টোবর নেপালে শুরু হবে এবারের সাফ। তার আগে সাবিনাদের ছয়টি ম্যাচ খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ইতোমধ্যে চারটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। গত জুনে কিংস অ্যারেনায় চাইনিজ তাইপের কাছে দুটি ম্যাচেই হেরেছিল পিটার বাটলারের দল।
আর জুলাইয়ে ভূটানের মাটিতে খেলা দুটি ম্যাচে জয় পান সাবিনারা। সাফের আগে আর কোনো ফিফা উইন্ডো না থাকলেও ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। যাতে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি না থাকত।
ইমরান হোসেন আরও বলেছেন,'মেয়েরা খেলার মধ্যে থাকুক বলেই চাচ্ছিলাম। উইন্ডোর বাইরে গিয়েও ভূটানের সঙ্গে খেলে এসেছি। নতুন উপদেষ্টা এসেছেন, আসার পরই এখনই তাঁকে চাপ দিতে চাই না। আগের প্রসেস অনুযায়ী আমরা চিঠি দিয়ে রেখেছিলাম। যদি সুযোগ থাকে, আর্থিক সহযোগিতা করা যায় তাহলে আমি তাঁকে অনুরোধ করব। তিনি আসার আগেই আমরা চিঠি দিয়ে টুর্নামেন্ট উল্লেখ করে আর্থিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছিলাম। কারণ এক সঙ্গে ছয়টি টুর্নামেন্ট হওয়ায় সমস্যা হয়েছে। সাফ থেকে আমরা আর্থিক সুবিধা পেলেও এএফসি থেকে পাইনি।'
এর আগে গত বছর টাকার অভাবে অলিম্পিকের বাছাই খেলতে মিয়ানমারে যেতে পারেনি বাংলাদেশ নারী দল। তা নিয়ে দেশের ফুটবলে চর্চা হয়েছিল অনেক। এ বছর নারী লিগে তাপদাহের মধ্যে দিনের বেলায় মেয়েদের ফুটবল লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাফুফে। ম্যাচ প্রতি ১৩ হাজার টাকার মত ফ্লাড লাইটের বিল দেওয়ার মত সঙ্গতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নেই বলে জানিয়েছিলেন ফেডারেশনের মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার। কিন্তু তীব্র গরমে কমলাপুরের টার্ফে ম্যাচ খেলা কঠিন। এ নিয়ে হয় সমালোচনা। পরে যদিও কাজী সালাউদ্দিনে আশ্বাসে সূচি বদলে কিছু ম্যাচ ফ্লাড লাইটে আয়োজন করা হয়।
এদিকে গতকাল কাজী সালাউদ্দিনের বাসায় গিয়ে দেখা করেছেন সাবিনাসহ জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার। গত বছর থেকে বাফুফের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বেতন পান ফুটবলাররা। এ ব্যাপারেই সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা বাফুফের সঙ্গে মেয়েদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ আগস্ট। তবে সেটা বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমরান হোসেন,'সাবিনা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখা করেছে। তাঁরা বলেছে এটা সৌজন্য সাক্ষাত। কিন্তু এই সাক্ষাতের মাধ্যমেই বেতন নিয়ে তাঁরা কথা বলেছে। ওদের চুক্তিটা বৃদ্ধি করতে চায় যেটা আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ছিল। আমরাও কাজ করছিলাম এটা নিয়ে। সভাপতির মেয়াদ ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। সভাপতির সঙ্গে কথা বলে তাদের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করেছি।' যদিও গত দুই মাসের বেতন এখনো পাননি মেয়েরা।