সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, সকল আবাসিক হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পদত্যাগের এসব তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান বলেন, “উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি জেনেছি। তবে দাপ্তরিক কোনো কাগজ আসেনি।

২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি। এরপর ২০২১ সালের ৩০ জুন দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। ফরিদ উদ্দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২১ অগাস্ট। তবে মেয়াদ শেষের এক বছর ১১ দিন আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন পদত্যাগ করেছেন বলে জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, মেডিক্যাল প্রশাসক, পরিবহন প্রশাসক ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এর আগে বুধবার উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রভোস্ট বডি, শিক্ষক সমিতিসহ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সব শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় বৃহস্পতিবার উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

পরে তার কার্যালয়সহ প্রশাসনিক ভবনেও তালা দেন আন্দোলনকারীরা।