News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/LU
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মৃত্যু, সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা তদন্তে নতুন করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার। আগের এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন বাদ দিয়ে এবার তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠনের পাশাপাশি কমিশনের কার্যপরিধিও বাড়ানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নতুন কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে কমিশনের সভাপতি করা হয়েছে, সদস্য করা হয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীকে।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র গত ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত নিহতদের মৃত্যু কারণ উদ্ঘাটন ও তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে এ তদন্ত কমিশন।
সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর বা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি কম্পানি, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই কমিশন নিরূপণ করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনকে এসব বিষয়ে তদন্ত করে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মৃত্যু, সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা তদন্তে নতুন করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার। আগের এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন বাদ দিয়ে এবার তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠনের পাশাপাশি কমিশনের কার্যপরিধিও বাড়ানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নতুন কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে কমিশনের সভাপতি করা হয়েছে, সদস্য করা হয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীকে।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র গত ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত নিহতদের মৃত্যু কারণ উদ্ঘাটন ও তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে এ তদন্ত কমিশন।
সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর বা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি কম্পানি, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই কমিশন নিরূপণ করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনকে এসব বিষয়ে তদন্ত করে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
৪ আগস্ট রংপুর যাচ্ছে তদন্ত কমিশন
নতুন তদন্ত কমিশন গঠনের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফ করেন কমিশনের সভাপতি বিচারপতি দিলীরুজ্জামান। এ সময় তার সঙ্গে বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরী ছিলেন। ব্রিফিংয়ে ৫ আগস্ট থেকে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি জানান, ৪ আগস্টই তারা রংপুর যাবেন। ৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে রংপুর সার্কিট হাউজে সাক্ষ্য গ্রহণ করবে কমিশন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আবু সাঈদের বিষয়ে প্রথমে সাক্ষ্য নেওয়া হবে। সাক্ষ্য গ্রহণের পাশাপাশি কমিশন অপরাধ সংঘটনের ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হবে। পরদিন অর্থাৎ ৬ আগস্ট সকাল ৯টায় নিহত সাজ্জাদ হোসেন, মোসলেম উদ্দিন মিলন ও মো. মানিক মিয়ার বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। রংপুর সার্কিট হাউসেই তাঁদের ব্যাপারে সাক্ষ্য নেওয়া হবে। একইভাবে ৭ আগস্ট মেরাজুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল তাহেরের বিষয়ে সাক্ষ্য নেবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ৪ আগস্ট আমরা (কমিশন) রংপুরে যাব। আমাদের সময়সূচি যাতে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়। কমিশন যাওয়ার খবর মানুষ যাতে জানতে পারে, সে জন্য অপরাধ সংঘটনের স্থান ও আশেপাশের এলাকায় আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে মাইকিং করা হবে। মাইকিং করে আহ্বান জানানো হবে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। যারা যারা সাক্ষী দিতে চান তারা যেন সাক্ষ্য দিতে আসেন।’
সাক্ষীদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত এক প্রশ্নে বিচারপতি দিলীরুজ্জামান বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে সবাইকে বলে দিতে চাই, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা সাক্ষ্য দিতে আসবেন, সেই সব ব্যক্তিদের আসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কোনোভাবেই কোনো সাক্ষীকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। এ ব্যাপারে কমিশন কাউকে ছাড় দেবে না।’
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে কমিশন কথা বলবে কি না, জানতে চাইলে কমিশনের সভাপতি বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা সবার সঙ্গেই কথা বলব।’নতুন তদন্ত কমিশন গঠনের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফ করেন কমিশনের সভাপতি বিচারপতি দিলীরুজ্জামান।
এ সময় তার সঙ্গে বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরী ছিলেন। ব্রিফিংয়ে ৫ আগস্ট থেকে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি জানান, ৪ আগস্টই তারা রংপুর যাবেন। ৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে রংপুর সার্কিট হাউজে সাক্ষ্য গ্রহণ করবে কমিশন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আবু সাঈদের বিষয়ে প্রথমে সাক্ষ্য নেওয়া হবে। সাক্ষ্য গ্রহণের পাশাপাশি কমিশন অপরাধ সংঘটনের ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হবে। পরদিন অর্থাৎ ৬ আগস্ট সকাল ৯টায় নিহত সাজ্জাদ হোসেন, মোসলেম উদ্দিন মিলন ও মো. মানিক মিয়ার বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। রংপুর সার্কিট হাউসেই তাঁদের ব্যাপারে সাক্ষ্য নেওয়া হবে। একইভাবে ৭ আগস্ট মেরাজুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল তাহেরের বিষয়ে সাক্ষ্য নেবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ৪ আগস্ট আমরা (কমিশন) রংপুরে যাব। আমাদের সময়সূচি যাতে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়। কমিশন যাওয়ার খবর মানুষ যাতে জানতে পারে, সে জন্য অপরাধ সংঘটনের স্থান ও আশেপাশের এলাকায় আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে মাইকিং করা হবে। মাইকিং করে আহ্বান জানানো হবে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। যারা যারা সাক্ষী দিতে চান তারা যেন সাক্ষ্য দিতে আসেন।’
সাক্ষীদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত এক প্রশ্নে বিচারপতি দিলীরুজ্জামান বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে সবাইকে বলে দিতে চাই, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা সাক্ষ্য দিতে আসবেন, সেই সব ব্যক্তিদের আসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কোনোভাবেই কোনো সাক্ষীকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। এ ব্যাপারে কমিশন কাউকে ছাড় দেবে না।’
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে কমিশন কথা বলবে কি না, জানতে চাইলে কমিশনের সভাপতি বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা সবার সঙ্গেই কথা বলব।’