News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/EY
কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ ছেড়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। বুধবার (১০ জুলাই) ৬৪ জেলায় আন্দোলন হবে জানিয়েছেন তারা। আগামীকাল মঙ্গলবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগ মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড় অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। পরে রাত ৮টা ন৩৫ মিনিটে এ তথ্য কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে সড়ক ছেড়ে দেয়।অবরোধ প্রত্যাহারের আগে আগামীকাল মঙ্গলবার গণসংযোগ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন কোটাবিরোধীরা। পাশাপাশি চলমান ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘটের কর্মসূচি চলবে। নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাস্তা ব্লকেডের আওতামুক্ত থাকবে।
বুধবার ৬৪ জেলায় কঠোর কর্মসূচীর প্রস্তুতির জন্য মঙ্গলবার সারাদেশের প্রতিনিধি বৈঠক এবং অনলাইনে-অফলাইনে গণসংযোগ করা হবে। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে অনলাইন ব্রিফিং এ আমরা কর্মসূচী ঘোষণা করব। তবে ছাত্র ধর্মঘট ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচী চলবে।’ এর আগে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, নীলক্ষেত, পরীবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মৎস্য ভবন ও গুলিস্তানসহ বিভিন্ন মোড় অবরোধ করেছে তারা।
কোটাবিরোধীদের অবরোধে ওইসব এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পরে রাজধানীবাসী। থমকে থাকা সড়কে বাস না চলায় গন্তব্যে যেতে মেট্রো স্টেশনগুলোতে ভিড় করে মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রেস ক্লাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহাবাগ ও কারওয়ান বাজার স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের লম্বা লাইন। ট্রেনের ভেতরে যাত্রীর তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তবুও গাদাগাদি করে যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছেন।
শাহাবাগ স্টেশনে হাসিবুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনের জন্য রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তাই মেট্রোতে করে যাচ্ছি। আমি মেট্রোর নিয়মিত যাত্রী না।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে বৈঠকে করেছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। তবে বৈঠক শেষে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি তারা। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কোটার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।