News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/Al
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার বলেছেন, কিয়েভ যেভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত বলে বিশ্বাস করে, সেভাবে তিনি একটি ‘সামগ্রিক পরিকল্পনা’ তৈরি করছেন।
শুক্রবার জেলেনস্কি বলেন, ‘বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাবে—যুদ্ধের অবসানের এমন পরিকল্পনা দেখানো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নাতাসা পিরক মুসারের সঙ্গে কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘এটি আমাদের কাজ করার কূটনৈতিক পথ।’
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো প্রকাশ্য আলোচনা চলছে না।
জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রকাশ্য বিবৃতির ভিত্তিতে, একটি সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ আগের মতোই রয়েছে। জেলেনস্কি এই মাসের শুরুর দিকে সুইজারল্যান্ডে একটি বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনের অবস্থানের পক্ষে সমর্থন জোগানো। তবে সেখানে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
সুইজারল্যান্ডে জেলেনস্কির সঙ্গে দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে ৯০টিরও বেশি দেশের নেতা ও প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন। তাদের অধিকাংশই একটি চূড়ান্ত ঘোষণায় সম্মত হয়েছেন, যেখানে যেকোনো চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনের ‘আঞ্চলিক অখণ্ডতা’কে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারতের মতো কিছু প্রধান দেশ এতে রাজি হয়নি এবং রাশিয়ার মিত্র চীনের মতো অন্যরা মস্কোকে আমন্ত্রণ না দেওয়ার প্রতিবাদে শীর্ষ সম্মেলন বয়কট করে।
ইউক্রেন বারবার বলেছে, শান্তি আলোচনা শুরুর আগে রাশিয়াকে অবশ্যই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
এর মধ্যে ক্রিমিয়ার উপদ্বীপও রয়েছে, যা মস্কো ২০১৪ সালে সংযুক্ত করেছিল। অন্যদিকে পুতিন ইউক্রেনকে পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে আরো বেশি এলাকা খালি করে কার্যকরভাবে আত্মসমর্পণের দাবি করছেন।
ব্রাসেলসে বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি কয়েক মাসের মধ্যে একটি ‘বিশদ পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করবেন। সেনা ও বেসামরিকদের মধ্যে হতাহতের উচ্চ হারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই।’
এদিকে রুশ সেনারা ধীরে ধীরে যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে।
আরেকটি ছোট গ্রাম শুক্রবার দখলের করার দাবি করেছে তারা। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক পঞ্চমাংশ রাশিয়ার দখলের রয়েছে। ২০২২ সালে আরো চারটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করার দাবি করেছিল মস্কো, যার কোনটিই তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে না।
ইউক্রেন আক্রমণকারী রুশ বাহিনীকে মোকাবেলায় পশ্চিমা আর্থিক ও সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে। তবে কিয়েভের সেনারা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াইয়ের পরে অস্ত্র ও জনবল সংকট এবং ক্লান্তিতে ভুগছে।