News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/yS
প্রথমবারের মতো চাঁদের দূরবর্তী পৃষ্ঠ থেকে বিরল নমুনা (পাথর ও মাটি) সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে চীনের মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান চ্যাংই-৬। প্রায় দুই মাসের ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের পর স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গোলিয়ার মরুভূমিতে মহাকাশযানটি অবতরণ করে। বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে চ্যাংই-৬-এর ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসেবে চীনই চাঁদের দূরবর্তী পৃষ্ঠে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো চীনের আরেকটি মহাকাশযান এই অংশে অবতরণ করেছিল। পৃথিবী থেকে অনেক দূরে চাঁদের দূরবর্তী পৃষ্ঠটি। দূরত্ব, বিশাল গর্ত ও কঠিন ভূখণ্ডের কারণে সেখানে পৌঁছানো প্রযুক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জিং। চাঁদের অনাবিষ্কৃত এই অঞ্চলটির প্রতি বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বেশি।
কারণ আশা করা হচ্ছে সেখানে বরফের অস্ত্বিত থাকতে পারে, যা পানি, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন খুঁজে পাওয়ার পথকে সুগম করবে। চ্যাংই-৬ মিশনটি চীনের জন্য গর্বের একটি উৎস। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ফোন করে চ্যাংই-৬ মিশনের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, চীনা বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে ...মানবতার উপকার করতে এবং জাতিকে এগিয়ে নিতে মহাকাশে গভীর অনুসন্ধান চালিয়ে যাবেন।
গত মে মাসের শুরুর দিকে চ্যাংই-৬ মহাকাশযানটি উৎক্ষপণ করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ পরে মহাকাশযানটি সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছের একটি গর্তে অবতরণ করে। এটি ৫৩ দিনের একটি মিশন ছিল। এটি চাঁদে চীনের ষষ্ঠ অভিযান এবং চাঁদের দূরবর্তী পৃষ্ঠে দ্বিতীয়। চীনা পৌরাণিক কাহিনিতে বর্ণিত চাঁদের দেবী চ্যাংইর নামানুসারে মিশনটির নামকরণ করা হয়েছে।
চাঁদের পৃষ্ঠে খনন করার জন্য একটি ড্রিল ও রোবটিক হাত ব্যবহার করে পাথর ও মাটি সংগ্রহ করতে সফল হয় মহাকাশযানটি। চাঁদের পৃষ্ঠের কয়েকটি ছবিও তোলে। একটি চীনা পতাকাও চাঁদের মাটিতে গেঁথে দিয়ে আসে চ্যাংই-৬।