News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/u8
গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন মধ্যস্থতাকারীরা। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধ বন্ধের দিকে অগ্রসর না হয়ে বরং হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আলজাজিরা শুক্রবার (১৪ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই রাফা শহরে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেনাদের মোকাবেলায় রাস্তায় নেমেছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। রাফার পশ্চিমে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া গাজা সিটির উত্তরে একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ওই হামলায় অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে অন্তত তিন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৯ হাজার ১৮৫ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে তারা।
সেই সঙ্গে গাজায় অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ৫৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে পাঁচ হাজার ২০০ জনেরও বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে তিন ধাপের একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এটি জাতিসংঘেও পাস হয়েছে। কিন্তু এই প্রস্তাব কার্যকরের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
বাইডেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল ও হামাস। বিশেষ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে হামাস উৎখাতে বদ্ধপরিকর। অন্যদিকে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি করেছে। দুই পক্ষের দাবির কারণে জটিল হয়ে পড়েছে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালালে প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়। এর পরই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।