বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ১৬৮টি বৃহৎ চা বাগান এবং প্রায় ৮ হাজার ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী সব উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও বর্তমান সরকারের নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে দেশের চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। চা শিল্পের ইতিহাসে উৎপাদনের অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে ২০২৩ সালে দেশের চা বাগানগুলোতে ১০২.৯২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) বিকলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

‘স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প’-প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৪ জুন) চতুর্থবারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং দ্বিতীয়বারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা শেষে দেশের চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানি/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের ট্রফি ও সনদ তুলে দেবেন। চা দিবসের শুভ উদ্বোধন এবং জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চা মেলা পরিদর্শন করবেন। চা মেলায় দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর চা প্রদর্শন করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়াও চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান ও বিভিন্ন কর্মকা- নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার এবং শ্রীমঙ্গলে টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ২০২৩ সালে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রায় ১.০৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। চা রপ্তানি উৎসাহিত করতে ৩ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। চা রপ্তানিও বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত ১৪টি দেশে প্রায় ১ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। চা রপ্তানি বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ, বিদেশে দেশি চায়ের প্রচারণা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চা তৈরিতে চা শিল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড কাজ করছে।