News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/m0
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবেলায় সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মানুষকে সচেতন করতে উপকূল এলাকায় গত তিন দিন ধরে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এজন্য দেশের প্রতিটি নিরাপত্তাবাহিনী কাজ করছে।
আজ রবিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবেলার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয়, সে জন্য সকলের সঙ্গে পরামর্শ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সভা আয়োজন করা হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, আইজি (প্রিজন) ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কোস্টগার্ড উপকূলের ৫৭টি স্থানে মাইকিং করছে।
একই সঙ্গে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ বোটের সঙ্গে কিছু রিলিফও তারা জোগাড় করে রেখেছে। সুন্দরবন এলাকায় বিজিবির ছোট ছোট বিওপি সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে কিছু ধ্বংস হলে, ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য র্যাব প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং র্যাব অবস্থান নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নৌপুলিশ এবং জেলা পুলিশ কাজ করছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তারা কাজ করছে। বাংলাদেশ আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গত ৪ দিন যাবৎ ১০ হাজার সদস্যকে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন এবং পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য সেখানে অবস্থান করছে।
উপকূলীয় অঞ্চলে কারাগার ও আসামিদের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জের কারাগারে হঠাৎ করে বন্যা আসায় দুই থেকে তিন ফুট পানি ঢুকেছিল। সে জন্য উপকূলীয় কারাগারগুলোতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইজি (প্রিজন) প্রস্তুতি নিয়েছেন।
উপকূলীয় এলাকার কারাগারে বন্দীদের অন্য নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া বা তাদের খাদ্য সামগ্রীর যাতে কোনো ঘাটতি না হয়, সেগুলোরও তারা একটা প্রস্তুতি নিয়েছে।’
দেশের উপকূলীয় এলাকায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ভি-সেট নেটের মাধ্যমে কোস্টগার্ড লাইভ মনিটরিং করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস পুরো উপকূলীয় এলাকায় তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পাঁচ হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানেই লোকজনকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তুত থাকবে। উপকূলীয় এলাকা এবং দেশব্যাপী ফায়ার সার্ভিস এই কাজগুলো করবে। প্রচুর বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে পার্বত্য এলাকায় ভূমিধস প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীরা প্রস্তুত রয়েছে।’