News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/39H
ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার এক যুগ পর মামলা হয়েছে। আলোচিত ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পতিত আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে দেড়শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। জেলা জামায়াতের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো: শফিকুর রহমান বাদি হয়ে মামলটি দায়ের করেন।
মামলায় অপর আসামীদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি করিম উল্যাহ বি.কম, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, বর্তমান সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারি, যুবলীগের সহ-সভাপতি জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়াউল আলম মিষ্টার, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক কোহিনুর আলম রানা রয়েছেন।
এদের একজন জাহাঙ্গীর আদেল ফুলগাজীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ড নিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রবিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের শান্তি কোম্পানী রোডের আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসার উত্তর-পশ্চিম পাশে অবস্থিত জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে আসামীরা ভিতরে প্রবেশ করলে দারোয়ান প্রাণভয়ে বের হয়ে যায়। তারা অতর্কিত গুলিবর্ষন ও বোমা ফাটিয়ে অফিস ভাংচুর করে। একপর্যায়ে গ্যারেজে থাকা নোহা গাড়ি (রেজিস্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্রে-চ-৫৩-৭৪৫৪) ও ২টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
এছাড়া হামলাকারীরা অফিসের নীচতলা ও দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন কক্ষের এসি, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন ভাংচুর ও অফিসের কাগজপত্র, বইপুস্তক তছনছ শেষে বিভিন্ন কক্ষে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে এলেও শান্তি রোডে আটকে দেয়া হয়।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জামায়াতের জেলা প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আবদুর রহীম জানান, ঘটনার পর সেই সময়ে মামলা করা হয়েছিল। পুলিশ ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে মামলাটি বিচার প্রক্রিয়া এগুতে দেয়নি।
ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান জানান, আওয়ামী লীগ সারাদেশের মতো ফেনীতেও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। তারা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে আগুন দিয়ে বই-পুস্তক, গাড়ী, আসবাবপত্র পুড়িয়েছে।