News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/39l
পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, সিলেট শহরে। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। প্রথমে টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে অভিনয়জগতে পা রাখেন। নাটক আকাশ ছোঁয়া”, “দীপ নেভে নাই”–এসব কাজ দিয়ে ধীরে ধীরে পরিচিতি পান তিনি।
১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় সালমান শাহর প্রথম চলচ্চিত্র “কেয়ামত থেকে কেয়ামত”। এই ছবির মাধ্যমেই বাংলা চলচ্চিত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। একই ছবিতে মৌসুমী ও আগুনেরও অভিষেক ঘটে। সালমান শাহর স্টাইল, সংলাপ বলা, গানচিত্রে উপস্থিতি সব কিছুই ছিল দর্শকের কাছে একেবারে নতুন।
তার অভিনয় সহজেই দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। পরের কয়েক বছরে তিনি হয়ে ওঠেন নব্বইয়ের দশকের সবচেয়ে আলোচিত, জনপ্রিয় ও সফল নায়ক।
🎞️ মাত্র ২৭টি চলচ্চিত্র—তবু কিংবদন্তি
মাত্র তিন বছরের অভিনয়জীবনে তিনি কাজ করেন ২৭টি চলচ্চিত্রে। প্রতিটি ছবিই হয় সুপারহিট। তার উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো:
🎞️ আনন্দ অশ্রু
🎞️ সুজন সখী
🎞️ তোমাকে চাই
🎞️ চাওয়া থেকে পাওয়া
🎞️ সত্যের মৃত্যু নেই
🎞️ স্বপ্নের ঠিকানা
🎞️ এই ঘর এই সংসার
🎞️ কন্যাদান
🎞️ আমার ঘর আমার বেহেশ্ত
🎞️ জনম জনম
এই ছবিগুলোর মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন স্টাইলিশ ও রোমান্টিক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, মাত্র ২৫ বছর বয়সে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু ঘটে সালমান শাহর। তার মৃত্যু আজও রহস্যে মোড়া। অনেকে বলেন আত্মহত্যা, কেউ বলেন পরিকল্পিত হত্যা।
তবে মৃত্যুর এত বছর পরেও তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। বরং সময় যত যাচ্ছে, ততই সালমান শাহ হয়ে উঠছেন একটি প্রজন্মের নায়ক থেকে সময়ের পরিধি ছাড়িয়ে যাওয়া কিংবদন্তি।
❤️ ভক্তদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী
সালমান শাহ শুধু একজন নায়ক ছিলেন না, ছিলেন স্টাইল আইকন, একজন সংস্কৃতির প্রতিনিধি। তার পোশাক, হেয়ারস্টাইল, কথা বলার ধরন—সব কিছুই তখনকার তরুণ সমাজের ফ্যাশন হয়ে উঠেছিল। আজও নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের মুখে মুখে ফেরে সালমান শাহর সংলাপ, গান, স্টাইল।
প্রয়াত হলেও সালমান শাহ বেঁচে আছেন কোটি ভক্তের ভালোবাসায়। জন্মদিনে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি তাকে, যে অভিনেতা বাংলা সিনেমাকে দিয়েছে নতুন ভাষা, নতুন দর্শন, নতুন স্বপ্ন।
শুভ জন্মদিন, সালমান শাহ। ছিলেন, আছেন, থাকবেন—সব সময়, ভক্তদের হৃদয়ে।