News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/38O
নেপালের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর এ বার দেশটির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কী। শুক্রবার রাত সওয়া ৯টায় কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন 'শীতল নিবাসে' রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন ৭২ বছরের এই বর্ষীয়ান নেত্রী।
সাম্প্রতিক ছাত্র-যুব আন্দোলনের ফলেই এই ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারী তরুণদের একটি বড় অংশই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে সুশীলার নাম প্রস্তাব করেন। তাঁদের তরফে প্রস্তাব পাঠানোর পাশাপাশি অন্তত ১,০০০টি লিখিত স্বাক্ষর চাইলে সুশীলা রাজি হবেন বলে জানান। তবে প্রথম দফাতেই ২,৫০০-র বেশি স্বাক্ষর জমা পড়ে তাঁর সমর্থনে।
সুশীলা কার্কীর এই মনোনয়নে সমর্থন জানান কাঠমান্ডুর জনপ্রিয় মেয়র ও র্যাপার বলেন্দ্র শাহ (বলেন) সহ একাধিক ছাত্রনেতা। যদিও পরে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ প্রাক্তন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কুল মান ঘিসিঙের নাম সামনে আনলে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। আন্দোলনের মধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তবে শুক্রবার ভোটাভুটির মাধ্যমে সুশীলার নামই চূড়ান্ত হয়।
সুশীলা কার্কী একজন নির্ভীক, সৎ এবং দক্ষ প্রশাসক হিসাবে পরিচিত। তিনি ২০১৬ সালে নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর মাধ্যমে। ২০০৬ সালে সংবিধান খসড়া কমিটিতে কাজ করেন এবং ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন শিক্ষিকা হিসাবে, পরবর্তীতে যুক্ত হন বিচারব্যবস্থায়।
এই অভাবনীয় পরিবর্তনে এক নতুন যুগের সূচনা দেখছে নেপাল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সুশীলা কার্কীর নেতৃত্বে নেপাল এক নতুন দিশা পাবে—যেখানে সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং গণতন্ত্রকে আরও জোরদার করা হবে।