News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/38B
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। পাশাপাশি, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে মুরাদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন, পরিবহন চত্বর হয়ে চৌরঙ্গীতে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা "প্রহসনের জাকসু মানি না, মানবো না", "জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো", "জাকসু বয়কট"—এমন স্লোগান দিতে থাকেন। ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—আঙুলে কালির দাগ না থাকা, ভোটার তালিকায় ছবি না থাকা, অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো এবং পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া।
জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার প্রত্যাশা ছিল আমাদের। কিন্তু আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া এবং বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থীদের হেনস্তা প্রমাণ করে নির্বাচন ছিল পক্ষপাতদুষ্ট। আমরা দ্রুত নতুন করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।”
এর আগে, বিকেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। একই দাবিতে বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক—অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান—নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ঘোষণা দেন। জানা গেছে, আরও কয়েকজন শিক্ষকও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৪৩ জন, যার মধ্যে ৫ হাজার ৭২৮ জন ছাত্রী এবং ৬ হাজার ১৫ জন ছাত্র। ২৫টি পদে মোট ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনের পরিবেশ ও প্রক্রিয়া নিয়ে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেলও রাতে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের জাকসু নির্বাচন ঘিরে প্রশ্ন ও সমালোচনার ঝড় বইছে ক্যাম্পাসজুড়ে।