News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/38c
প্রতিশ্রুতি আর নানা কর্ম-পরিকল্পনা কথা তুলে ধরার মধ্য দিয়ে আজ রবিবার রাত ১০টায় শেষ হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। তাই শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর আনাগোনা কম ছিল। তাই সারা দিন প্রচারণা চলেছে মূলত হলকেন্দ্রিক। শনিবার দিনের শুরুতে হাজী মুহম্মদ মহসিন হলে প্রচারণা শুরু করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, অতীতের অপরাজনীতির সংস্কৃতি ফেলে সুস্থ ও একতার রাজনৈতিক চর্চা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে নারী কিংবা পুরুষ হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে কাউন্ট করাই আমাদের সবচেয়ে বড় টার্গেট হবে। এ সময় নির্বাচিত হলে নারী হেনস্তা রোধে বিশেষ সেল গঠনের কথাও বলেন তিনি।
অপরদিকে, হলের শিক্ষার্থীদের কাছে যান স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার চ্যালেঞ্জগুলো তুলে আনেন তিনি।
উমামা ফাতেমা বলেন, আমরা আশা করি মেয়েরাও গণহারে ভোট দিতে আসবে। আমরা এ বিষয়টি বেশি করে উৎসাহিত করছি।
গতকাল অমর একুশে হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন এস এম ফরহাদ এবং আবু বাকের মজুমদার।এ সময় সাংবাদিকদের কাছে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। বিকালে মধুর ক্যান্টিনে জরুরি ব্রিফিং করেন স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণ, রাজনৈতিক প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক। অপরদিকে, বিকালে ভোটের পরিবেশ ও নানা বিষয় নিয়ে চিফ রিটার্নিং অফিসার বরাবর অভিযোগপত্র দেয় ছাত্রদল।
আজ প্রচারণা শেষে হাতে থাকবে মাত্র একদিন। এরপর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। সব কিছুকে ছাপিয়ে নির্বাচন হবে সুষ্ঠু-সুন্দর ও দৃষ্টান্তমূলক-এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের চাপ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, ব্যালট পেপার প্রস্তুত করা, ভোটকেন্দ্রের বুথ তৈরি করার কাজগুলো এখন হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজও চলছে। নির্বাচনে যত স্বচ্ছতা আনা যায়, সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করছেন তাঁরা। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিবেশ-পরিস্থিতি সবকিছু ভালো। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য বুথের সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।