News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/33j
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সক্ষমতা রয়েছে যে তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকে। অপরাধ সংঘটনের পর তারা দ্রুত আসামি ধরতে সক্ষম হলেও অপরাধ ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নয়, অপরাধে নীরব দর্শক সরকার।
গতকাল শনিবার সন্ধায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহীর মাসিক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। পুরানা পল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক এবং পরিচালনা করেন মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
মামুনুল হক বলেন, সুস্থ, সুন্দর ও সকলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সরকারের এক নম্বর অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আমরা আবারও সরকারকে মনে করিয়ে দিচ্ছি— কাঙ্ক্ষিত সংস্কার, খুনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার এবং লেভেল প্লেইং ফিল্ড ছাড়া আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই ঐক্যবদ্ধ ইসলামী দলকে ভোট দিতে আগ্রহী। কিন্তু বারবার তারা হতাশ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও ইসলামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ এসেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির মুফতী সাঈদ নূর, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতী শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা মুহসিনুল হাসান, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী নুর মোহাম্মাদ আজিজী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক কারী হুসাইন আহমদ, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা মুহসিন উদ্দীন বেলালী, মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা মামুনুর রশীদ, হাফেজ শহীদুল ইসলাম, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মাওলানা আনোয়ার মাহমুদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমী, হাফেজ সালাহউদ্দিন, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, মাওলানা মুর্শেদুল আলম সিদ্দীক এবং যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান।