News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2Z1
কুমিল্লার তিতাসে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী জামায়াতে ইসলামীর নেতার বিরুদ্ধে। তিনি কৌশলে সরকারি এ জায়গা অবৈধ দখলের উদ্দেশ্যে বালু দিয়ে ভরাট করে চলেছেন।
এতে সড়ক ও জনপথের কয়েক কোটি টাকার জমি বেদখল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পূনরায় আবারো কিছু রাজনৈতিক মহলের প্রভাবশালী নেতারা শুরু করেছে খাস জমি দখলের এ মহোৎসব। কার জমি কে দখল করছে যেন কোনো নিয়ম-নীতি নেই।
শুক্রবার (২৫জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তিতাস উপজেলা শাখার কড়িকান্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি মুহাম্মদ ছবির হোসেন দলীয় ক্ষমতার প্রভাবে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন গৌরিপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের পাশেই সড়ক ও জনপদের প্রায় ৩০শতকের একটি পুকুর অবৈধ ভাবে দখলের উদ্দেশ্যে বালু দিয়ে ভরাট করে চলেছেন। জামায়াত নেতার এমন কর্মকান্ডে এলাকায় এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, এর আগে উপজেলার জিয়ারকান্দি এলাকা থেকে বাতাকান্দি বাজার পর্যন্ত গৌরিপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের পাশের বেশকিছু সরকারি জমি বেদখল হয়ে গেছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এসকল জায়গা দখল করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের স্থাপনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সওজের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণেই বেদখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি জমি। দখলবাজদের কাছ থেকে জমি উদ্ধারে কোনো তৎপরতা নেই কর্তৃপক্ষের। নতুন করে যেসব জমি ভরাট হচ্ছে সেটি বন্ধেও তাদের কোনো পদক্ষেপ নেই।
ঘটনায় অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ ছবির হোসেন বলেন, এখানে আমাদের মালিকানা ভুক্ত জমি আছে। তার সাথেই সড়ক ও জনপদের জায়গায়ও রয়েছে। মূলত এই জায়গা ভরাট করা হচ্ছে রাস্তা নেওয়ার জন্য আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বরত কতৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং বালু ভরাট কাজের ভিডিও করেও পাঠিয়েছি। আর আমার রেকর্ডভুক্ত জমির সাথে যেহেতু এই খাস জমি সেইটা ভোগ দখল করে ব্যবহার আমরা করতেই পারি। স্থাপনা নির্মাণ না করলেই তো হলো সরকারের যখন জমি প্রয়োজন হবে নিয়ে নিবে। সরকারি এ জায়গাটি ভরাটের লিখিত কোন অনুমতি আছে কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন মৌখিক ভাবে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত না। সরকারি খাস জমি ভরাটের বিষয়ে ছবির হোসেন এর সাথে আমার কোন কথা হয়নি। কোন জমিটি ভরাট হচ্ছে সেইটি মালিকানা নাকি খাস জমি তাও আমি জানিনা। তফসিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে খোঁজ নিব এবং সরকারি খাস জমি যদি অবৈধ ভাবে ভরাট করে থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঘটনার বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লা জেলার গৌরিপুর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনির বলেন, সরকারি জায়গা ভরাটের কোন বিষয়ে ছবির হোসেন এর সাথে আমার কোন কথা হয়নি। তিনি মিথ্যা বলেছেন আর এসব বিষয়ে মৌখিক কোন অনুমতি হয়না। বিষয়টি আমাকে জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমরা শীঘ্রই খোঁজ নিব যদি অবৈধ ভাবে সরকারি জায়গা কেউ ভরাট করে থাকে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।