News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2YQ
দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত গাইবান্ধা জেলার সার্বিক অগ্রগতির জন্য সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড (EPZ) প্রতিষ্ঠার দাবি নতুন করে সামনে এসেছে। এ দাবিকে কেন্দ্র করে ‘গণসংযোগ-২০২৫’ কর্মসূচিতে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ যুক্ত হচ্ছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য, গাইবান্ধা জেলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আশেপাশের অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে। একসময় গাইবান্ধা শহর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র থাকলেও বর্তমানে ব্যবসা খাত ধীরে ধীরে ভাটা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হক সাঁকোয়া ব্রিজের আশেপাশে ইপিজেড স্থাপন সংক্রান্ত একটি সুস্পষ্ট প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলেন, যা জেলার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছিল। তবে পরবর্তীতে কিছু মহল প্রস্তাবটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গিয়ে সাঁওতাল পল্লীতে বিতর্কিতভাবে ইপিজেড করার চেষ্টা করে, যা ইতোমধ্যে স্থানীয় সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বিরোধিতার মুখে পড়েছে।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতে, সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড হলে বিনিয়োগকারীরা সহজে আগ্রহী হবেন। নিকটবর্তী রেলপথ, সড়কপথ, নৌপথ ও হেলিপ্যাড সুবিধা থাকায় পরিবহন ও লজিস্টিক খরচ কম হবে। ফলে সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জসহ আশেপাশের উপজেলার শ্রমজীবী মানুষদের কর্মসংস্থান সহজ হবে।
এছাড়া গাইবান্ধাবাসীর অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে:
১। গাইবান্ধায় পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন
২। গ্যাস সংযোগের দ্রুত বাস্তবায়ন
৩। সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন
৪। ঘাঘট লেকের দখলমুক্তকরণ ও সীমানা নির্ধারণ
৫। সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ’ এর নেতা এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেছেন,গাইবান্ধার অর্থনৈতিক অগ্রগতি আর দীর্ঘদিন থমকে থাকতে দেওয়া যাবে না। ইপিজেড বাস্তবায়নই হবে নতুন দিগন্ত।”
এছাড়া এ দাবিতে একাট্টা হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ্যাড. কুশলাশীষ চক্রবর্তী, জাহাঙ্গীর কবির তনু, হাসান মোর্শেদ দিপন, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক ও এ্যাড. ফারুক কবির, খিলন রবিদাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
‘সাঁকোয়া ব্রিজ ইপিজেড বাস্তবায়ন মঞ্চ, গাইবান্ধা’ এর ব্যানারে এই উদ্যোগকে আরও গতিশীল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।