News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2Wm
আদালত চত্বরে চলাফেরার সময় অনেকেই খেয়াল করেছেন—একই আইনজীবী দুই জায়গায় -কখনও গলায় কালো টাই, আবার কখনও গলায় সাদা ব্যান্ড। এই পোশাকের পার্থক্য কি শুধুই ফ্যাশন, নাকি এর পেছনে রয়েছে পেশাগত পরিচয়ের সূক্ষ্ম সংকেত? আসুন বিস্তারিত জেনে নেই-
কালো টাই: জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের আইনজীবী :
কালো টাই একটি ঐতিহ্যবাহী পোশাক, যা বিশেষন করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবীদের পরিধানে দেখা যায়। এই পোশাকটি তাদের পেশাগত(আইনজীবী) পরিচয়কে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের আইনজীবী হিসেবে জজ কোর্টে প্র্যাকটিসের অনুমোদন প্রদর্শন করে। কালো টাই পরিধান একটি প্রথাগত চিহ্ন, যা আইনজীবীদের নির্দিষ্ট আদালতে কাজ করার সময় পরিচিতি হিসেবে কাজ করে। সাধারণত, এটি সাদা শার্ট এবং কালো স্যুটের সাথে পরিধান করা হয়, যা গম্ভীর এবং পেশাদারী চেহারা প্রদান করে।
সাদা ব্যান্ড: সুপ্রীম কোর্টের তালিকাভুক্ত আইনজীবী :
অন্যদিকে, সাদা ব্যান্ড গলায় পরা একটি বিশেষ পোশাক চিহ্ন, যা শুধুমাত্র সুপ্রীম কোর্ট-এর তালিকাভুক্ত(Enrolled) আইনজীবীদের জন্য নির্ধারিত। এটি সুপ্রীম কোর্টে কাজ করার অনুমোদনের প্রতীক এবং এই ব্যান্ডটি তাদের উচ্চ আদালতের প্র্যাকটিসের অনুমোদন বা পরিচয় নিশ্চিত করে। সাদা ব্যান্ড সাধারণত সাদা শার্টের সঙ্গে পরা হয় এবং এটি আইনজীবীর কোর্টে উপস্থিতি এবং তার আইনজীবী পরিচিতিকে উচ্চমানের অভিজ্ঞান হিসেবে প্রকাশ করে। কিছু ক্ষেত্রে, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীরা জেলা কোর্টেও কাজ করেন, সেক্ষেত্রে তারা কালো টাই পরিধান করে সেখানে উপস্থিত হন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মিঠুন সাহা তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক পেজে বলেন, “অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি ঢাকা জজ কোর্টে কেনো? আমি বলি, আমি উভয় কোর্টেই ওকালতি করি। যখন যেখানে কাজ থাকে, সেখানে যাই। আগে কালো টাই পরতাম, কারণ তখন আমি শুধুমাত্র জজ কোর্টের আইনজীবী ছিলাম। এখন সাদা ব্যান্ডও পরি, কারণ আমি একই সাথে সুপ্রীম কোর্টের তালিকাভুক্ত আইনজীবী।”
অন্যদিকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এডভোকেট শাকিল আহমেদ বলেন- আমি শুধুমাত্র কালো টাই পরি। কারণ আমি জেলা কোর্টের আইনজীবী। আমি সাদা ব্যান্ড তখনই পড়তে পারবো যখন আমি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হবো।