News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2VA
ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের কারণে গত পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই-নারায়ণহাট-ফটিকছড়ি সড়ক। গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে সড়কটির ঝরঝরি মাজারসংলগ্ন চার রাস্তার কোপ এলাকায় পাহাড় ধসে সড়কে পড়ায় সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই সড়কে চলাচলকারীরা।
শনিবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে অল্প কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল ছাড়া বড় ধরনের সব যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে যাত্রীরা নেমে ঠেলে ঠেলে ওই এলাকা পার হতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যেতেও দেখা গেছে। অটোরিকশা চলছে ঝুঁকি নিয়ে। স্থানীয়রা জানায়, মিরসরাই সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরত্বে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
সিএনজি অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ রিপন বলেন, মিরসরাই উপজেলা সদর থেকে নারায়ণহাট-ফটিকছড়ি সিএনজি অটোরিকশার লাইন রয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে পড়ায় কেউ সাহস করে এখন গাড়ি চালাতে রাজি হচ্ছে না। দুই-একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও যাত্রীরা নেমে ঠেলে অনেক কষ্ট করে পার হচ্ছে। বড় গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখন অল্পকিছু অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলছে। এই সড়কে চলাচলকারী শামসুল হক বলেন, সড়কটির বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গেছে। পাহাড় ধসে এর আগেও সড়কটি বন্ধ হয়েছিল। তাই আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাবো এটি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য।
বেলাল উদ্দিন নামের এক চাকরিজীবী বলেন, আমি ফটিকছড়ি এলাকায় একটি বেসরকারি কম্পানিতে চাকরি করি। সপ্তাহের বন্ধের দিন এই সড়ক দিয়ে বাড়ি যাই। কিন্তু সড়ক বন্ধ শোনার পর বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে বাড়ি ফিরেছি।
স্থানীয় দোকানি মোহাম্মদ জিন্নাহ বলেন, এই সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশার লাইন রয়েছে সেটাও অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা লেবু চাষী আলা উদ্দিন বলেন, পাঁচ দিন পার হয়ে গেলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকদের দেখা মেলেনি। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কে এমন বিপজ্জনক অবস্থার সমাধানে কারো নজর নেই। সড়ক বন্ধ হওয়ায় লেবু নিয়ে খুবই বিপাকে আছি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সীতাকুন্ড সড়ক উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান বলেন, আমাদের এসকেভেটর প্রস্তুত থাকলেও এখনও মাটি নরম। কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এসকেভেটর গেলেও সেখানে আটকে যেতো। সেজন্য এসকেভেটর নিয়ে সেখানে কেউ যেতে সাহস করছিল না। যেহেতু এখন বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। আজ (শনিবার) রাতে এসকেভেটর যাবে। কালকে সকালে কাজ শুরু হবে।