শতভাগ আবাসন, চাকসু নির্বাচন এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ সাত দফা দাবিতে রোববার বুকলেট প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯ পৃষ্ঠার এই বুকলেটে ৭ দফা দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে। 

দুপুর আড়াইটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে বুকলেট প্রকাশ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মুহাম্মদ আলী, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজাহিদ, অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ, প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়াসহ ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা।চবি সংস্কারে সাত দফা শিরোনামে বুকলেটে ছাত্রশিবিরের প্রথম দফা দাবি শতবাগ আবাসন নিশ্চিত এবং নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে আবাসিক ভাতা প্রদান করা। বুকলেটে প্রথম দফায় ৩ টি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চবির তুলনা দেওয়া হয়।

যেখানে দেখা যায় আয়তনে সবচেয়ে বড় হওয়া সত্ত্বেও সবচেয়ে আবাসন কম চবির। দ্বিতীয় দফায় সেশনজট নিরসনের দাবি জানানো হয়। বুকলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাধিক সেশনজটে আক্রান্ত ১০ টি ডিপার্টমেন্টে তালিকা দেওয়া হয়। পাশাপাশি সেশনজটের কারণ ও করণীয় দেখানো হয়। তৃতীয় দফায় নিরাপদ যাতায়াতের জন্য শাটলের নতুন রুট, দ্রুতগামী শাটল চালু, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট বগি এবং শহরগামী ফ্রী বাস চালুর দাবি জানানো হয়। চতুর্থ দফা অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।

বুকলেটে চাকসুর দাবিতে বছরব্যাপী ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। পঞ্চম দফায় সমস্যা ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম এবং কেন্দ্রীয় মসজিদ পুননির্মাণ করার দাবি জানানো হয়। ষষ্ঠ দফায় শিক্ষার্থী নির্যাতনে জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানানো হয়।

বুকলেটের এই দফায় গত ১৬ বছরে ছাত্রলীগের হাতে খুন হওয়া ৮ জন শিক্ষার্থীর খুনের বিবরণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কয়েকজন গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর তালিকা ও জুলাই বিপ্লবে নির্যাতনের সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তালিকা দেওয়া হয়। ৭ম দফায় বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে অবৈধ নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের বিচার ও নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানানো হয়। বুকলেটে গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অবৈধ নিয়োগের সংবাদগুলো তুলে ধরা হয়।