News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2Mh
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের বিকাশে অত্যন্ত আন্তরিক — এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।”
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’ উল্লেখ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, এই থিম বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী।
তিনি আরও বলেন, “এসএমই খাত আমাদের জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) একটি বড় অংশ এ খাত থেকে আসে এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতেও এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ।”
তবে এসএমই উদ্যোক্তারা নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা, এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতা। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক সহযোগিতা।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, “অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার মান নিশ্চিত করে। এটি দক্ষ জনবল গঠনে সহায়ক এবং বাণিজ্যে কারিগরি বাধা দূর করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পথ সুগম করে।”
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এই লক্ষ্যে কাজ করছে। এ পর্যন্ত বিএবি দেশের বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী ও পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন এবং এসএমই খাতের টেকসই উন্নয়নে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।