News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2Kl
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করেছে তিতাস উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো। শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে উপজেলার করিকান্দি বাজার সংলগ্ন ইভা কিন্ডারগার্টেন মাঠে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
তিতাস উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওসমান গনি ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. খন্দকার মারুফ হোসেন। সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার।
তিতাস উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, "শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, যিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক এবং জনগণের আস্থার প্রতীক। তাঁর সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়।" বক্তারা আরও জোর দিয়ে বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দর্শনই বিএনপির পথচলার মূল প্রেরণা এবং বর্তমান দুঃসময়ে তাঁর চিন্তা ও দর্শন নতুন প্রজন্মকে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার আদায়ে অনুপ্রাণিত করবে। বক্তারা জিয়াউর রহমানের খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব এবং স্বনির্ভর অর্থনীতির রূপরেখার মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলোর কথা স্মরণ করেন, যা দেশের কৃষি, শিল্প ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিল।
আলোচনা সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ একাত্তরের সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বিএনপির প্রয়াত নেতাকর্মীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত শেষে প্রায় দেড় হাজার লোকের মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়। পুরো আয়োজন জুড়ে এক আবেগঘন পরিবেশ বিরাজ করে, যা প্রমাণ করে শহীদ জিয়ার প্রতি তৃণমূলের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আজও অম্লান। এই কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীরা শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাঁদের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।