News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2JO
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার সাগর ছিল প্রচণ্ড উত্তাল। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাসে বিঘ্ন ঘটে। যদিও বন্দরের জেটিতে কনটেইনার খালাস কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক।
দিনভর চট্টগ্রাম শহরে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়া বইতে দেখা যায়। পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় পানির উচ্চতা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। বিকেলের দিকে সমুদ্র পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে লাইটার জাহাজ চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে, ফলে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য পরিবহন কমে যায়। সাধারণত এই বড় জাহাজগুলো বহির্নোঙরে নোঙর করে এবং সেখান থেকে ছোট লাইটার জাহাজে পণ্য বিভিন্ন বন্দরে পাঠানো হয়। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করায় লাইটার চলাচল সীমিত রাখা হয়।
ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত বুকিং থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু লাইটার সাগরে যেতে পারেনি। বুধবার ২৬২টি লাইটার বুকিং থাকলেও কার্যত মাত্র ৪৬টি লাইটার সাগরে পৌঁছায়। কিছু লাইটার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও, কাজের গতি ছিল মন্থর।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বৃষ্টিতে খোলা পণ্য ভিজে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই ভারী বৃষ্টিপাতের সময় পণ্য খালাসে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে মাদার ভেসেল থেকে খালাস কার্যক্রমও অনেকটাই ব্যাহত হয়।
এদিকে, সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।