রাজধানীর বংশাল এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) রাতে বংশাল থানার সাতরওজা আগাসাদেক রোডে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলো- মো. সুমন রাব্বি (৪০), মো.আকরাম হোসেন ওরফে আকমল (৪৫), মো. আমিন (৪৫), মো. ওসমান গনি (৩০), মো. রাজু আহম্মেদ (৫১), মো. আব্দুল নূর (৩৫), মো. ইব্রাহিম ওরফে সুমিত (২০) এবং অপর একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।

বংশাল থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে বংশাল থানার সাতরওজা আগাসাদেক রোডের আজমেরী দাওয়াখানা নামক দোকানে ভেজাল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বংশাল থানা ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানো সময় মো. সুমন রাব্বি ও মো. আকরাম হোসেন ওরফে আকমলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের সহযোগী কয়েকজন পালিয়ে যান।

গ্রেফতারদের হেফাজত হতে পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি মোটর সাইকেল, বিভিন্ন ধরনের ৭৫১ বোতল ভেজাল ওষুধ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির নগদ ৪৭ হাজার ৯৩৯ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই রোডের তৃপ্তি আয়ুর্বেদিক দাওয়াখানায় অভিযান চালিয়ে মো. আমিন, মো. ওসমান গনি, মো. রাজু আহম্মেদ, মো. আব্দুল নূর, মো. ইব্রাহিম ওরফে সুমিত এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ককে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন, নগদ ৫২ হাজার টাকা, ৩৪৪ বোতল ভেজাল ওষুধ, ৪০টি খালি বোতল এবং ২০০ মিলি লিটারের ৮৮ প্যাকেট পাস্তুরিত ফ্লেভার্ড মিল্ক জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতাররাসহ পলাতকদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা এসব ভেজাল ওষুধ সংগ্রহ ও বিক্রয় করছিল। এসব ওষুধের সপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তারা। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।