News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2Ju
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জ্ঞান চন্দ্র রায়। কৃষিকাজকে শুধুমাত্র জীবিকা নয়, উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মনির্ভরতার হাতিয়ার করে তুলেছেন তিনি। পিতা সূর্য চন্দ্র রায়ের ছেলে জ্ঞান চন্দ্র ৬০ শতক জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পেপে চাষ শুরু করেছেন। দুইটি উন্নত জাত—নাশিক কিং (২৮০টি গাছ) এবং রেড লেডি (২২০টি গাছ)—মোট ৫৬০টি চারা রোপণ করে গড়ে তুলেছেন এক বছরের একটি পরিকল্পিত কৃষিপ্রকল্প। পুরো প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা, আর আয় হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে সম্ভাব্য লাভ দাঁড়াবে প্রায় ৩.৫ লক্ষ টাকা।
এই উদ্যোগে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন একই ইউনিয়নের মৃত আঃ হামিদের ছেলে প্রিন্স মিয়া এবং মৃত আজগার আলী সরকারের ছেলে মোঃ আবু তালেব সরকার।
জ্ঞান চন্দ্র বলেন, "আমাদের এলাকায় চাকরির সুযোগ কম। তাই আমি চাই নিজের জমিতেই কিছু করে দেখাতে। তরুণরা যদি একটু সাহস করে, তাহলে কৃষিও হতে পারে সম্মানের পেশা আর ভালো আয়ের উৎস।"
এই উদ্যোগে সহায়তায় ছিলেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এটিবি ইয়ুথ ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পারভেজ। তিনি বলেন, "আমরা চাই এলাকার তরুণরা কৃষিতে উদ্যোগ নিক। আমাদের সংগঠন সবসময় পাশে থাকবে। জ্ঞান চন্দ্র ভাইয়ের মতো অনেকেই যেন সামনে এগিয়ে আসে, সেই চেষ্টাই করছি।"
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, "এটি খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। পেপে একটি লাভজনক ফল এবং জলবায়ু উপযোগী। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে পাশে আছি।"