News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2IU
সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ -এর প্রজ্ঞাপন জারির প্রতিবাদে তৃতীয় দিনেও উত্তল ছিলো বাংলাদেশ সচিবালয়। অধিকাংশ দফতরে হয়নি কাজ। রোববার তড়িঘড়ি করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের সমালোচনা করেন কর্মচারীরা। এটিকে কালো আইন উল্লেখ করে অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণাও আসে।
সোমবার (২৬ মে) সকালে বিভিন্ন দফতর থেকে মিছিল নিয়ে কর্মচারীরা জড়ো হন সচিবালয়ের তিন নম্বর ভবনের সামনে। রোববার একটি কমিটি গঠনের কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই সরকারি চাকরিবিধি অধ্যাদেশ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশে আসাকে দ্বিচারী আচরণ বলছেন আন্দোলনকারীরা। সেই সাথে জনপ্রশাসন সচিবের ভূমিকার সমালোচনাও করেন। এদিকে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আইন উপদেষ্টা সাক্ষাতের কথা থাকলেও তা হয়নি। আইনটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
মঙ্গলবার আবার জড়ো হওয়ার ঘোষণাও আসে। সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের (একাংশ) সভাপতি বাদিউল কবীর বলেন, আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত। আইন উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বা বাতিল হবার কথা ছিলো। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির কারণে তিনি সচিবালয়ে আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তাই দাবি আদায় না হওয়ায় আগামীকাল আবারও বিক্ষোভ হবে। এই কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, এই আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। অনেক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই কালো আইন প্রয়োগ শুরু করেছেন। তাদের হুঁশিয়ার করে বলছি, হাতে আসার আগেই এই আইনের প্রয়োগ শুরু করলে তার পরিণতি ভাল হবে না। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ -এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। কর্মচারীরা এই অনুমোদিত খসড়াকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। এদিকে আন্দোলনের মধ্যেই রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর গেজেটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার। এতে বলা হয়েছে, ‘ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩৭ এরপর নিম্নরূপ নূতন ধারা ৩৭ক সন্নিবেশিত হবে।’ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নতুন আইনের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদ নামিয়ে দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে তা পুনর্বিবেচনারও দাবি করছেন কর্মচারীরা।