News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2F8
তিন দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে ২০২৫) সকাল থেকেই রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বাসে করে আরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন।
বুধবার দিনভর আন্দোলনের পর রাতেও শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যান। এ সময় তারা মৎস্যভবন থেকে কাকরাইল অভিমুখী সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। রাস্তায় বসে ও দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। কেউ কেউ সড়কের মাঝখানে বসে প্রতিবাদে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সারা রাত অবস্থান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক মঞ্জুর মোর্শেদ ভূঁইয়া, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক কেএমএম রিফাত হাসান, সহকারী অধ্যাপক সুমন কুমার মজুমদার এবং প্রক্টরিয়াল টিমের অন্যান্য সদস্যরা।
আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনও। কাকরাইল মোড়ের ভেতরে ও বাইরে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী একত্রে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। স্লোগান, বিপ্লবী গান ও প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, লিখিত আশ্বাস ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো:
০১. আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত—৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে।
০২. পূর্ণাঙ্গ বাজেট—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন করতে হবে।
০৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন—পরবর্তী একনেক সভায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের অনুমোদন দিয়ে তা অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমি পিতা হয়ে সন্তানদের ফেলে যেতে পারি না। শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ আন্দোলনে থাকবে, আমিও তাদের সঙ্গে থাকব।”
অন্যদিকে, আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, “পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান, টিয়ার গ্যাস, রোদ-বৃষ্টি সহ্য করে এসেছি। এবার খালি হাতে ফিরবো না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত আশ্বাস না পাওয়ায়, শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন যে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।