News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2Cp
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর বদলা নিতে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হানল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। প্রতিরক্ষা দপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী, মোট ৯টি জঙ্গি পরিকাঠামোয় ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বহাওয়ালপুর এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদে হামলার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এক্স হ্যান্ডলে।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, এই অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে চালানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডলে রাত ১টা নাগাদ এই হামলার ঘোষণা করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, হামলা ‘সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং অপ্ররোচনামূলক’। পাকিস্তানের সেনাঘাঁটিতে নয়, বরং শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকেই লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
সেনা সূত্রে দাবি, এই হামলাগুলি চালানো হয়েছে লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে। একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাতের আকাশ চিরে উড়ে যাচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র। এলওসি’র পুঞ্চ সেক্টর থেকে অপারেশন শুরু হওয়ার ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে।
পাকিস্তান সেনার আইএসপিআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, এই হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছে শিশু ও মহিলা। বহাওয়ালপুর, মুজাফফরাবাদ, কোটলি, মুরিদকে, শিয়ালকোট ও শাকারগড়ে মোট ২৪টি হামলার কথা জানানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, একাধিক মসজিদকে লক্ষ্য করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানো হয়েছে। যদিও ভারতীয় প্রতিরক্ষা দপ্তর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “ভারত মাতা কী জয়!” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হামলার পর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, মার্কিন উপদেষ্টা ও মার্কো রুবিয়োর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও সূত্রের খবর।
এদিকে-পাকিস্তান ভারতের এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বললেও, ভারত তার প্রতিক্রিয়ায় বার্তা দিয়েছে— জঙ্গি হামলার জবাব এবার মিলবে ভারতীয় শর্তে, ভারতীয় সময়েই।